আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ‍্যোগ পুজো বৈঠক

8th October 2020 9:31 pm বর্ধমান
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ‍্যোগ পুজো বৈঠক


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে পানাগড়ের কমিউনিটি হলে কাঁকসা ও বুদবুদ থানার অধীনে সমস্ত পুজো কিমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করলেন ডিসি ইস্ট অভিষেক গুপ্তা । এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন কাঁকসার বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্য, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস,কাঁকসা থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি অর্ণব গুহ,বুদবুদ থানার ওসি প্রমিত গাঙ্গুলি, কাঁকসার এসিপি দীপঙ্কর বক্সী,পানাগড় ট্রাফিক গার্ডের ওসি সুদীপ রায়, পানাগড় ফায়ারের আধিকারিক,সহ অন্যান্য দফতরের আধিকারিকরা। এদিন পুলিশের পক্ষ থেকে সমস্ত পুজো কমিটির সাথে সরাসরি কথা বলে পুজো কমিটি গুলির বিভিন্য দফতর থেকে অনুমতি পেতে যে সমস্যায় পড়তে হয় তা কিভাবে সহজে পুজো উদ্যোক্তারা অনুমতি পাবে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি এদিন করোনা আবহে পুজোর ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যেগুলো জানানো হয়। যেমন পুজোর সময় পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার সময় ফুল ছাড়াই পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া,বিসর্জনের সময় কোনো রকম শোভাযাত্রা না করা, প্রতিটি মণ্ডপের সামনে চুন দিয়ে দূরত্ব বলয় তৈরি করা, যে সমস্ত দর্শনার্থীরা মাস্ক ছাড়া মণ্ডপে প্রবেশ করবে তাদের মুখে মাস্ক পরিয়ে দেওয়া এবং সকলকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে স্যানিটাইজ করানো,এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রতিটি মণ্ডপে মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।